যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক দেওয়া ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েল এই প্রস্তাবের শর্ত হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলেছে, তবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার বা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। হামাস এই প্রস্তাবকে ‘একতরফা ও অসম’ আখ্যা দিয়ে তা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র ছাড়ার শর্ত দিয়েছে। কিন্তু তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার বা স্থায়ীভাবে আগ্রাসন বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। দখলদার শক্তির এই পরিকল্পনা মেনে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।” এই বক্তব্যে হামাসের অবস্থান স্পষ্ট হয় যে, তারা এমন একতরফা শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সম্প্রতি এই প্রস্তাবটি মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে পেশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাক্ষাতের পরপরই এই প্রস্তাব আলোচনায় আসে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া কায়রোতে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারা জানান, “মিশরের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইসরায়েলের প্রস্তাবটি ছিল অস্ত্র ছাড়ার ওপর কেন্দ্রীভূত। কিন্তু এটি কোনো শান্তির নিশ্চয়তা দেয়নি।”

এটি প্রথমবার, যখন ইসরায়েল সরাসরি অস্ত্র পরিত্যাগকে যুদ্ধবিরতির শর্ত করেছে—যা হামাসের জন্য একটি ‘রেডলাইন’ বা অগ্রহণযোগ্য সীমারেখা বলে মনে হচ্ছে। হামাস এই শর্তের সাথে একমত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণ এটি তাদের স্বাধীনতার জন্য একেবারে বিপরীত।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে এবং হামলা চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। গাজায় এখনও ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে গাজার মধ্যে চলমান সংঘর্ষ এবং মানবিক সঙ্কট।

তথ্য সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *